কিভাবে এডমিশন টেস্ট এক্সাম এ ভালো রেজাল্ট করবো??
কিছু কথা
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে প্রতিটা Student এর জন্য এডমিশন টেস্ট এক্সাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে জীবনের একটি Important অধ্যায় বলা যায়।
সারাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এই এক্সাম এ অংশগ্রহণ করে। অনেক সময় দেখা যায় যারা গ্রাম থেকে এক্সাম দিতে আসে তারা শহরের ছেলেমেয়েদের তুলনায় একটু পিছিয়ে থাকে পরিপূর্ণ পরিকল্পনার অভাবে। কিন্তু এখন তো অনলাইন এর যুগ চাইলেই একজন গ্রামের শিক্ষার্থী ও শহরের ছেলেমেয়েদের মত ভালো করতে পারে, যদি অনলাইন এ থাকা রিসোর্স গুলোর সঠিক বেবহার করতে পারে।
এখানে আমি মুলত সাইন্স এর শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি পরিপূর্ণ গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করবো। আমি আশা করি এর মাদ্ধমে আপনাদের কিছুটা হলেউ উপকার হবে।
ক্যাটাগরি
এখানে আমরা পুরো সময় কে দুই ভাগে ভাগ করে পারি।
একটি হল কলেজ লাইফ
আরেক টি হল এডমিশন টেস্ট এক্সাম এর আগের ৩-৪ মাস।
কলেজ লাইফ এর সময় এর উপর ভিত্তি করে, আমরা কিছু ক্যাটাগরির শিক্ষার্থী পাবো।
কিছু শিক্ষার্থী খুবি ভালো পড়াশোনা করেছে কলেজ লাইফ এ তারা এডমিশন টেস্ট এক্সাম এ সাভাবিক ভাবেই ভালো রেজাল্ট করবে। আর কিছু শিক্ষার্থী থাকবে মিডিয়াম, কিছু থাকবে একেবারে লোকেটাগড়ির।
আপনি যদি মিডিয়াম বা লো কেটাগড়ির শিক্ষার্থী হন এবং ভাবেন যে এই তিন চার মাসে আপনাকে দিয়ে কিছু হবে না। তাহলে আপনি আমার দেয়া সাজেশন টি পুরো পড়ুন। আশা করি আপনার ধারণা বদলে যাবে এবং এডমিশন টেস্ট এক্সাম এ আপনি একটা ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।
সরবপ্রথম আপনাকে এই ধারণা বাদ দিতে হবে যে, আপনাকে দিয়ে কিছু হবে না। আপনি জযদি এই তিন চার মাস ঠিক মত লেগে থাকেন, অবশ্যই আপনাকে দিয়ে অনেক ভালো কিছু হবে। কারণ আপনি যে টপিক গুলো আয়ত্ত করছেন এগুলো কিন্তু অনেক দিন মনে থাকবে না। বরং আপনি এই তিন চার মাসে যে বিষয় গুলা পড়বেন, এগুলোই আপনার এক্সাম এ ভালো মনে থাকবে।
নোট :
বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মনে করে, অনেক বেশি জিনিস পড়ে গেলে সে ভালো করবে, বিষয় টা পুরোপুরি সঠিক নয়। কারন এক্সাম এ টাইম থাকে খুবই কম, একটা প্রশ্ন উত্তর করার জন্য অনেক কম সময় থাকে, আপনি যে বিষয় গুলো খুব ভালো পারেন, আপনি সে গুলোই কেবল উত্তর করতে পারবেন। এইজন্য আপনি যে টপিক গুলো শিখছেন, সেগুলো খুব বেশি বেশি Practice করুন। কিছু কিছু জিনিস এর answer মনে রাখার চেষ্টা করুন। বেশি বেশি Practice করলে কিছু কিছু বিষয় এমনেই মনে থাকবে।
গাইডলাইন
এবার আসি গাইডলাইন এ তিন মাস -চার মাস কিভাবে পড়বেন, কিভাবে নিজের প্রিপারেশন কে বেস্ট করবেন।
বেশি ভাগ এক্সাম এ-ই যে, কোন চারটি বিষয় উত্তর করতে হয়।
Physics, Chemistry, Math, Biology, Bangla, English, ICT.
যেমন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ যে কোন চারটি বিষয় এ উত্তর করা লাগে। অন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেউ প্রায় সেইম। কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।
এখন আপনি প্রিপারেশন টা কিভাবে নিবেন। আপনি যে বিষয় গুলো এক্সাম এ উত্তর করবেন, সেগুলো বাছাই করুন।
৪ টা সাব্জেক্ট মানে টোটাল ৮ টা পেপার। এত গুলো বই এক সাথে মনে রাখা কিন্তু কোন সহজ না। আপনি এর আগে যে এক্সাম গুলো দিয়েছেন, সেগুলো মাত্র একটি পেপার এর উপর ছিল, এখন পুরো ৮ টা পেপার একসাথে। এইসব এক্সাম এ ভাল করতে হলে আপনার প্রিপারেশন হতে হবে, অনেক স্মার্ট।
First এই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন সবকিছু আপনার মাথায় রাখা লাগবে। আমি Physics এর উদাহরণ দিচ্ছি, বাকি গুলো উ প্রায় সেইম আপনারা বুঝে নিবেন।
ধরুন Physics এ টোটাল ২৪ টা Chapter আছে। আপনি একটা chapter ধরবেন। বিগত ২০ বছরে অই Chapter থেকে কি কি প্রশ্ন এসেছে ওটা দেখবেন, এর পর অই Chapter এর জত গুলো কন্সেপ্ট আছে, সেগুলো পড়ে নিবেন। এর পর Question Bank টা আবার নিবেন। নিয়ে Question গুলো বুঝে বুঝে সলভ করবেন। এর পর দেখবেন সেইম টাইপ এর প্রশ্ন বারবার Repete হচ্ছে। আপনি টাইপ গুলো ভালো করে নোট করে রাখুন। এভাবে একটা চেপ্টারে আপনি ১০-১২ টি টাইপ পাবেন। তাহলে টোটাল কত গুলো টাইপ হল Physics এ ১০-১২ গুন ২৪, তার মানে হল একটা সাব্জেক্ট এর ক্ষেত্রে প্রায় ২৪০ -২৫০ কম বেশি হতে পারে । এই রকম টাইপ গুলো, খুব ভালো করে Practice করেন, বার বার করেন, এত বেশি Practice করেন জাতে এই টাইপ গুলো থেকে প্রশ্ন আসলে এক্সাম এ ভুল না হয় ।
এভাবে যদি আপনি প্রতিটা সাব্জেক্ট Practice করেন, ইনশাআল্লাহ আপনি এডমিশন টেস্ট এক্সাম এ অনেক ভালো করতে পারবেন। আর বায়োলজি র ক্ষেত্রে মূল বই টা ভাল করে পড়বেন।
পোস্ট টি লিখেছেন
Nice post
উত্তরমুছুন